দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে বনিবনা হয়নি কার্লোস তেভেজের। গত বিশ্বকাপে দলে থাকলেও অনেকটা উপেক্ষিত ছিলেন তিনি। ম্যারাডোনা যুগের পর আলেসান্দ্রো স্যাবেলার সময়টাতেও কার্লোস তেভেজ ছিলেন অনাহূত। তবে সদ্য শেষ হওয়া মওসুমে কার্লোস তেভেজের পারফরম্যান্স ছিল ঈর্ষা জাগানোর মতোই। জুভেন্টাসের হয়ে জয় করেছেন ইতালিয়ান সিরি এ লিগ। ৪৫ ম্যাচে করেছেন ২১ গোল। লিগে ৩১ ম্যাচে ১৯ গোল। এতকিছুর পরও স্যাবেলার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি তেভেজ। ২০১১ সালের পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যায়নি তাকে। তবে জুভেন্টাসের সঙ্গে চমৎকার একটা মৌসুম কাটানোর পর তেভেজ আশা করেছিলেন, এবার অন্তত স্যাবেলা তাকে জাতীয় দলে ডাকবেন। বৃথাই গেল তেভেজের আশা। স্যাবেলা এমনকি তেভেজকে তার প্রাথমিক দলে রাখারও প্রয়োজন বোধ করেননি!
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘোষিত আর্জেন্টিনার প্রাথমিক দলে স্থান হয়নি তার। ৩০ সদস্যের দলে অবশ্য বাকি প্রায় সব তারকাই আছেন। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত চূড়ান্ত দলে স্ট্রাইকার হিসেবে স্থান পেয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়েন, লেভেজ্জি, রদ্রিগো এবং ফ্র্যাঙ্কো ডি সান্টো। মিডফিল্ডে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ছাড়াও আছেন ম্যাঙ্ িরদ্রিগেজ, মাসকারেনো, গাগো, রিকার্ডো আলভারেজ, সোসা, ফার্নান্দেজ এবং বেনেগা। বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনা ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো (৪ জুন) এবং স্লোভেনিয়ার (৭ জুন) সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তবে তার আগেই (অন্তত ২ জুন) স্যাবেলাকে বিশ্বকাপের জন্য ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত কারা বাদ পড়েন তাই এখন দেখার বিষয়।
আর্জেন্টিনার ৩০ জন
গোলরক্ষক
মারিয়ানো আন্দুজার, সার্জিও রোমেরো ও অগাস্টিন ওরিয়ন।
ডিফেন্ডার
লিসান্দ্রো লোপেজ, গুগো কমপেগনারো, ফেড্রিকো ফার্নান্দেজ, পাবলো জাবালেটা, ইজিকুইয়েল গ্যারে, মার্কোস রোজো, হোসে বসন্ত, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্টিন ডেমিচেলিস ও গ্যাব্রিয়েল মার্কাডো।
মিডফিল্ডার
জাবিয়ার মার্সেরানো, হোসে সোসা, অগাস্টো ফার্নান্দেজ, রিকি আলভারেজ, লুকাস বিগলিয়া, ইভর বানেগা, ফার্নান্দো গগো, ম্যঙ্গি রড্রিগুয়েজ, এনজো প্যারেজ ও ফ্যাবিয়ান রিনাউডু।
ফরোয়ার্ড
লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, রড্রিগো প্যালাসিও, গঞ্জালো হিগুয়েন, সার্জিও আগুয়েরো, ইজাকুইল লাভেজ্জি ও ফ্রাঙ্কো ডি স্যান্টো।