বারাবটি স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল সেভেনে সেমিফাইনালের আশা আরও জোরাল করল কলকাতা নাইটরাইডার্স। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ তালিকায় চতুর্থ কেকেআর। আর ১০ ম্যাচে সাতটিতে হেরে আইপিএল সেভেন থেকে কার্যত ছিটকে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই।
রবিন উথাপ্পার ব্যাটিং ধামাকায় মুম্বাইয়ের ১৪২ রান তাড়া করে জিততে বেগ পেতে হয়নি নাইটদের। ৮ বল বাকি থাকতেই হাসতে হাসতে মুকেশ আম্বানির দলকে হারায় শাহরুখ খানের কেকেআর। ফলে আইপিএল সেভেনে দু'বারের সাক্ষাতে দু'বারই বাজিমাত করলেন নাইটরা।
প্রথমে সুনীল নারিনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং পরে উথাপ্পাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং কেকেআরকে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
এদিন মুম্বাই বোলারদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বজায় রেখে দলকে সহজেই জয় এনে দেন উথাপ্পা। ৮০ রান করে উথাপ্পা যখন ডাগ-আউটে ফেরেন, তখন নাইটরা জয়ের দোরগোড়ায়। ডানহাতি ওপেনার ৫২ বলের ইনিংস সাজানো ৯টি চার ও তিনটি চারে ৷ রান তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন উথাপ্পা। তার ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় দেখায় লসিথ মালিঙ্গা, হরভজন সিংদের।
তবে টানা চার ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরিকারী নাইট অধিনায়ক গম্ভীর এদিন বেশিদূর এগোতে পারেননি ৷ মাত্র ১৪ রানে হরভজনের বলে বোল্ড হন গাম্ভীর। ব্যক্তিগত ১৪ রানে মণীশ পাণ্ডেও ভাজ্জির শিকার হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের অলরাউন্ডার শাকিব-আল-হাসান করেন ৯ রান। জয়ের জন্য যখন বাকি আর মাত্র ৪ রান তখনি ক্যাচআউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এরপরই ১৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান ইউসুফ পাঠান।
মুম্বইয়ের সেরা বোলার হরভজন। ২২ রান খরচ করে দু'টি উইকেট নেন ভাজ্জি। ম্যাচের সেরা হন উথাপ্পা।