অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হচ্ছে না...
হ্যাঁ। তবে আমি মনে করি এটা এক দিক দিয়ে ভালো। অন্যদের চেয়ে অনেক ফ্রেশ হয়ে খেলতে নামব আমরা।
ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট?
যদি খেলোয়াড়ের সামর্থ্যের কথা বলেন, তাহলে আমি তাদের প্রতিভা ও প্রয়োগ ক্ষমতা নিয়ে খুশি। গত ছয় মাসে তারা যে উন্নতি করেছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। অনুশীলন দেখে আমার মনে হয়েছে সবাই ভালো করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সবার দৃষ্টিভঙ্গিও পজিটিভ।
বিশ্বকাপে দলের টার্গেট কি?
আমি তো চাই শেষ পর্যন্ত খেলতে। কিন্তু বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হয়। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ নিয়ে আমরা আলাদা আলাদা করে চিন্তা করছি। তারপর লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ড। আমরা জানি, দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে। আমি মনে করি তিনটি ম্যাচ জেতার সামর্থ্য রয়েছে আমাদের। তবে এখন দৃষ্টি আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে।
ক্রিকেটারদের আত্দবিশ্বাস কেমন?
যে কোনো দলের সাফল্যের মূল শক্তি আত্দবিশ্বাস। যাদের আত্দবিশ্বাস বেশি থাকবে, তারাই ভালো খেলবে। আমি মনে করি আমাদের ক্রিকেটারদের আত্দবিশ্বাস ভালো।
গ্রুপ কতটা শক্তিশালী?
কোনো সন্দেহ নেই আমাদের গ্রুপ অনেক কঠিন। অবশ্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। অনুশীলন করেছি অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনের আমেজ তৈরি করে। যতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি, তা নিয়ে আমি আত্দবিশ্বাসী। যদি কোনো ইনজুরি না থাকে, তাহলে দারুণ কিছু করব আমরা।
আফগানিস্তানকে নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা...
প্রতিটি ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের সব মনোযোগ আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে। তবে প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেদের দক্ষতা ও পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছি। যদি সেরাটা খেলতে পারি, তাহলে দক্ষতায় পিছিয়ে থাকা দলকে আমরা হারাতে পারব। শক্তিশালী দলগুলোকে হারাতে নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে।
তামিমকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা?
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছে তামিম। সে আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দুটি ম্যাচ খেলবে। যদি সে ভালো খেলেন, তাহলে অবশ্যই ভালো। আর যদি শতভাগ ফিট না থাকেন, তাহলে তাকে খেলান হবে না। এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার খুবই মেধাবী ক্রিকেটার। তারা যত দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিবেন, তত দ্রুত আমরা সাফল্য পাব।