বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের একটিও জয় নেই। পাঁচবারের দেখায় তারা হেরেছে প্রতিবারই। সবশেষ ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান জয়ের আভাস দিয়েও হেরেছিল। এবারের বিশ্বকাপেও নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে এবার অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। ভারতের বিরুদ্ধে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে চান তিনি।
এই ম্যাচ নিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, 'ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সবসময়ই বাড়তি উত্তেজনা থাকে। বিশ্বের অনেক সমর্থকই এই ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আসবে। হোটেলগুলো প্রায় মাসখানেক আগে থেকে বুকিং হয়ে গেছে। সমর্থকদের এই প্রত্যাশা সত্যিই দারুণ একটি বিষয়। আমাদের মধ্যেও সেই আত্মবিশ্বাস আছে। নিজেদের দিনে আমরা বিশ্বের যেকোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি। কিন্তু দু'দলই জানে কীভাবে চাপকে সামলে উঠতে হয়। তবে এটা অন্য আরেকটি ম্যাচের মতোই একটি ম্যাচ। এখানে বাড়তি কিছু দেখার নেই। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হিসেবে দুই দলই জয়ের মাধ্যমে শুরু করার আশা করছে। যাতে করে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আত্মবিশ্বাসী থাকা যায়।'
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ মানেই পাকিস্তানিদের মধুর স্মৃতি। ১৯৯২ সালে ইমরানের খানের পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াতেই তো বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তাছাড়া ওই দলটির সঙ্গে এই দলের দারুণ মিল। সেবারের দলটিও ছিল তরুণ ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ। এবারও তাই। তবে সাঈদ আজমলকে পেলে সোনায় সোহাগা হয়ে যেত। ৯২-এ মুশতাক আহমেদ স্পিনে যে ভূমিকা রেখেছিলেন, হয়তো এবার একই ভূমিকায় দেখা যেত সাঈদকেও। তবে সেই জায়গাটি দখল করতে পারেন আফ্রিদিও। তাই এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী বুম বুম।