একেতো দলের ছয়জন নিয়মিত খেলোয়াড় নেই। তারপর আবার প্রচণ্ড শীত। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও এএফসি কাপ ফুটবলে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র নৈপুণ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ম্যাচ জিততে পারেনি। গতকাল তাজিকিস্তানে বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে স্থানীয় লিগ রানার্সআপ আল খাইর বাহাদাত ক্লাবের কাছে ০-১ গোলে হেরে যায়। শেখ রাসেলের ডিরেক্টর ইনচার্জ ইসমত জামিল আকন্দ লাবলু জানান, প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে রুস্তমের গোলে আল খাইর জিতে যায়। এ পরাজয়ের ফলে শেখ রাসেলের আর পরবর্তী রাউন্ড খেলা হলো না। গত মৌসুমে লোকাল আসরে শেখ রাসেল শিরোপাহীন ছিল। এবার বসুন্ধরা গ্রুপ দায়িত্ব নেওয়ায় সেরা তারকাদের নিয়ে শক্তিশালী দল গঠন করে। বিদেশি কালেকশনেও চমক ছিল। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে শেখ রাসেলের সাতজন ফুটবলার অংশগ্রহণ করেন। ৮ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ খেলাতে তারকা ফুটবলারদের আর তাজিকিস্তানে যাওয়া হয়নি। পুরো দল নিয়ে খেলতে পারলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে গতকাল শেখ রাসেল যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করে তা তাজিক দর্শকদের মুগ্ধ করে। প্রথমার্ধে গোল হজম করলেও শেখ রাসেল অসংখ্য সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ফেডারেশন কাপের মাধ্যমে ঘরোয়া ফুটবলের পর্দা উঠছে। শেখ রাসেলের টার্গেট এবার প্রতিটি আসরে চ্যাম্পিয়ন। যে দল গড়া হয়েছে তাতে এবার শেখ রাসেল চমৎকার ফুটবল খেলবে এ আশা ক্লাব কর্তৃপক্ষের।