প্রথম ম্যাচে যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে ভালোই লড়াই করেছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক দল। ওই দিন শক্তিশালী বাহরাইনকে রুখে দিয়েছিল। তবে ঢাকায় এসে আর মালদ্বীপের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। প্রথম ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করা মালদ্বীপ এদিন বাংলাদেশ যুবাদের ২-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের হারের ফলে শেষ চারে ওঠার জটিল সমীকরণের মুখোমুখি হয়ে গেলো বাংলাদেশ অলিম্পিক দল। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলবে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জিতলেও কোনো লাভ হবে না, যদি আগের ম্যাচে মালদ্বীপ ও বাহরাইন ড্র করে বসে। সে ম্যাচটি ড্র হলে মালদ্বীপের পয়েন্ট হবে ৭, বাহরাইনের ৫। সুতরাং, তারাই পাবে শেষ চারের টিকিট। তবে বাহরাইন যদি মালদ্বীপের কাছে হেরে যায় এবং বাংলাদেশ যদি কম্বোডিয়াকে হারাতে পারে, তাহলে গোল গড়ের হিসেবে সেমির ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
এদিন, ম্যাচের ১৬ মিনিটে ইয়াসা ইসমাইলের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। এর ৭ মিনিট পর ওমর বাবুর ভুলে বাংলাদেশের প্রান্তে বল পেয়ে যান মালদ্বীপের আলী আসাদ। সেই বল সামনে বাড়িয়ে দিলে তা পান ইয়াসা ইসমাইল। ডান প্রান্তে গোললাইন থেকে ডান দিকে কাট ব্যাক করেন তিনি। সেই বল পেয়ে গোল বাংলাদেশ যুবাদের জালে বল জড়ান বাম দিকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ইমাজ আহমেদ।
এরপর বাংলাদেশের ফুটবলাররা চেষ্টা করেও পারেনি গোল দুটি পরিশোধ করতে। শুধু শোধ করা তো দূরে থাক, মালদ্বীপের জালই খুঁজে পায়নি গঞ্জালো সানচেজ মোরেনোর শিষ্যরা।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব