বেশ কিছুদিন সব শান্ত থাকার পর ক্রিকেট অঙ্গনে ফের আলোচনার শীর্ষে পাকিস্তান। বরাবরের মত এবারও ভুল কারণেই তারা আবার আলোচনায় এসেছেন। ফিক্সিংয়ের দায়ে ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) থেকে নির্বাসিত হয়েছেন শারজিল খান এবং খালিদ লতিফ। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরও তিন ক্রিকেটারকেও।
পরপর এমন দু’টি ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি। পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফের ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া ফিরল কিনা, তা নিয়ে জোরালো ভাবেই শুরু হয়েছে তদন্ত। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ এবং আমির সোহেল তো বটেই, দেশের ক্রিকেটের অবস্থা নিয়ে খুব একটা খুশি নন জাতীয় নির্বাচক ইনজামাম উল হকও।
সম্প্রতি একটি ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইটে বলেছেন, ‘গোটা বিশ্ব যে জায়গায় চলে গিয়েছে, পাকিস্তান এখনও তার থেকে এক ধাপ পিছিয়ে রয়েছে। প্রত্যেকটা বিভাগে আমাদের উন্নতি করা দরকার। টেস্ট, একদিনের ম্যাচ এবং টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের র্যাঙ্কিং যথাক্রমে ৬, ৮ এবং ৭, রীতিমতো চিন্তার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে এটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বিশ্বক্রিকেটে যা চলছে, সেই পর্যায়ের ক্রিকেট আমরা খেলতে পারছি না। ভুলগুলোকে স্বীকার করে নিয়ে সমস্যাগুলোকে আমাদের বুঝতে হবে। নাহলে উন্নতি করা কোনওদিন সম্ভব নয়। ভুল না স্বীকার করলে কিছুতেই এগোনো যাবে না।’
আরেকটি প্রধান সমস্যার কথা উল্লেখ করে ইনজামাম বলেন ‘আমি সব কোচকে বারবার জিজ্ঞাসা করেছি, কেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্রিকেটাররা উন্নতি করছে না? টেকনিক, মানসিকতা এসবের ফলে ক্রিকেট আজ অনেক বদলে গিয়েছে। তাহলে কেন আমাদের ক্রিকেটাররা ৭০ বলে ১৩ করবে? কেন সিঙ্গল নেবে না? কেন স্ট্রাইক রোটেট করবে না? এগুলো প্লেয়ারদের উত্তর দিতে হবে।’
সাম্প্রতিককালে পাকিস্তান ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই একজন অধিনায়কের সুপারিশ করেছেন ইনজিমাম। এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি চাই পাকিস্তানের অধিনায়ক একজনই হোক। তবে এটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রযেছে। আমাদের হাতে তেমন ভাল অধিনায়ক নেই বা অটোমেটিক চয়েস নেই। একজন অধিনায়কই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে তিন ফরম্যাটে তিন ক্যাপ্টেন? মজা হচ্ছে নাকি। বাস্তবিক দিক থেকে এগুলো দেখতে হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১০