যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ব্র্যাডিকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন হলেন জাপানের নাওমি ওসাকা। এই ম্যাচের আগে মুখোমুখি সাক্ষাতে ব্র্যাডির বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েছিলেন ওসাকা। রড লেভার এরিনায় সেই ব্যবধান আরও কিছুটা বাড়িয়ে নিলেন জাপানি তারকা। মাত্র ৭৭ মিনিটেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৬-৪, ৬-৩ সেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতে নেন ওসাকা।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে জোড়া সাফল্যের পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও এই নিয়ে জোড়া সাফল্য এল ওসাকার ঝুলিতে। এর আগে ২০১৯ বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেতাব জিতে নিয়েছিলেন জাপানের নাওমি ওসাকা। একইসঙ্গে এই জয়ের পর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছে একশো শতাংশ জয়ের ধারা বজায় রাখলেন ওসাকা। কয়েকমাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেমিফাইনালে ওসাকার মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্র্যাডি। ওই ম্যাচেও ওসাকার কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছিল মার্কিনীকে। এদিন জয়ের পর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ওই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ওসাকা।
ব্র্যাডিকে তিনি বলেন, কয়েকমাস আগে আমরা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেমিফাইনাল খেলেছি। আমি তারপর সবাইকে বলেছিলাম তুমি ধীরে ধীরে সমস্যার কারণ হয়ে উঠবে অন্যান্যদের কাছে। আমি ঠিক বুঝেছিলাম। গত কয়েকমাস ধরে তোমার উত্থান আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে।
মনিকা সেলেস এবং রজার ফেডেরারের পর বিশ্বের তৃতীয় টেনিস প্লেয়ার হিসেবে ওসাকা তার প্রথম চার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে অল-উইন রেকর্ড গড়লেন। ওয়ার্ল্ড টেনিস এসোসিয়েশন র্যাংকিংয়ে এবার দ্বিতীয়স্থানে ওঠার পালা ওসাকার।
এদিন প্রথম সেটে ব্র্যাডির সঙ্গে কিছুটা লড়াই জমলেও দ্বিতীয় সেটে তুলনামূলক সহজ জয় তুলে নেন নাওমি ওসাকা। প্রথম সেটে একসময় ৪-৪ অবস্থায় একই মেরুতে দাড়িয়েছিলেন দু’জনে। আবার দ্বিতীয় সেটে একসময় ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান ওসাকা।
এর আগে সেমিফাইনালে স্ট্রেট সেটে কিংবদন্তি সেরেনাকে পরাজিত করেছিলেন ওসাকা। তবে টুর্নামেন্টে ওসাকার টার্নিং পয়েন্ট অবশ্যই চতুর্থ রাউন্ডে স্পেনের গার্বিন মুগুরুজার বিরুদ্ধে ম্যাচটি। ওই ম্যাচে দু’টি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিলেন ২৩ বছরের জাপানি তারকা। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত