সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভসূচনা করলো বাংলাদেশ। ৫৬ মিনিটে তপু বর্মণের পেনাল্টি গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জামাল ভূঁইয়ারা।
শুক্রবার বিকেলে মালদ্বীপের মালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ০-১ গোলে হারিয়েছে অস্কার ব্রুজনের দল।
সাফের উদ্বোধনী ম্যাচে শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য বজায় রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাও কিছুটা চাপ তৈরি করে খেলেছে। কিন্তু ইয়াসিন, তপু, বিশ্বনাথ ঘোষ ও কাজী তারিক রায়হানকে নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের রক্ষণের দৃঢ়তায় পারেনি তারা।
খেলার অষ্টম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাঁদিক থেকে ইয়াসিনের থ্রো ইনে বক্সের থেকে জোরালো শট নেন তপু। কিন্তু বল এক লঙ্কান ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর বক্সে শ্রীলঙ্কার এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করেন জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু রেফারি সাড়া দেননি।
২০তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কাও। কিন্তু হার্শা ফের্নান্দোর শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে যায়। ২ মিনিট পরে জামাল ভূঁইয়ার ক্রসের পরিণতিও হয় একই।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরাফাতের লম্বা ক্রসে তপু হেড করলেও বলের লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক সুজন পেরেরা ফেরান।
দ্বিতীয়ার্ধে জুয়েল রানার পরিবর্তে সাদউদ্দিনকে মাঠে নামান অস্কার ব্রুজোন। ৫৬ মিনিটে বাংলাদেশের আক্রমণ ঠেকাতে গেলে হাতে বল লাগে লঙ্কান এক ডিফেন্ডারের।
লঙ্কান ফুটবলাররা রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। এতে আরো বিপদ ডেকে আনেন তারা। হ্যান্ডবল করা ডাকসনকে আরেকটি হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। দুই হলুদ কার্ডে ডাকসনকে মাঠ ছাড়তে হয়।
সফল স্পট কিক থেকে বুলেটগতির শটে লক্ষ্যভেদ করে তপু দলকে এগিয়ে দেন।
শ্রীলঙ্কা ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার তাদের প্রবাসী ফুটবলার ডিলনকে নামায়। শেষদিকে গোলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও গোল পায়নি শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টির গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জামাল ভূঁইয়ারা।
সাফে দু'বার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ১টি করে জয়ে সমতায় দু'দল। যদিও সবশেষ ৬ দেখায় ৪টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ।
এবারের সাফে খেলছে বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। লিগ পর্বে প্রতিটি দল পরস্পরকে একবার করে মোকাবিলা করবে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল ফাইনালে খেলবে ১৬ অক্টোবর।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন