বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা সার্বিয়ান নোভাক জকোভিচের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তকে সোমবার ‘অযৌক্তিক' বলে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিচারক অ্যান্থনি কেলি। তবে এখনও তার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা নিয়ে আশঙ্কা কাটেনি।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গত বুধবার রাতে মেলবোর্ন পৌঁছান জকোভিচ। কিন্তু করোনার টিকা দেয়ার প্রমাণ না থাকায় জকোভিচের ভিসা বাতিল করে তাকে একটি অভিবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জকোভিচ জানান, তিনি টিকা নেননি। এছাড়া দুই বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অস্ট্রেলীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ। গতকাল সোমবার সেই মামলার রায় দেন বিচারক অ্যান্থনি কেলি।
তিনি বলেন, ভিসা বাতিলের ইচ্ছা প্রকাশের পর জকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজক ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়নি।
কেলি জানান, গত বুধবার রাতে মেলবোর্ন পৌঁছার পর জকোভিচকে পরদিন সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজক ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময় শেষ হওয়ার আগেই সকাল ছয়টায় জকোভিচকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয়। এতে তার উপর চাপ পড়ে বলে জানান বিচারক কেলি।
এর আগে কেলি আদালতকে জানিয়েছিলেন, করোনার টিকা নেয়ার শর্ত থেকে অব্যাহতি পেতে মেলবোর্ন রওয়ানা হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন জকোভিচ। তাকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার অনুমতিও দেয়া হয়েছিল। এই অনুমতি পেতে গত মাসে করোনা থেকে সেরা ওঠার প্রমাণ জমা দিয়েছিলেন জকোভিচ। গত বুধবার মেলবোর্ন পৌঁছার পরও কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়টি জানান তিনি। ‘‘একটা মানুষ এর চেয়ে বেশি আর কী করতে পারত?'' প্রশ্ন করেন কেলি।
বিচারক কেলির দেয়া রায়ের পর অভিবাসন কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেলেও জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি।
কারণ অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালেক্স হোকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রয়োগ করে জকোভিচের ভিসা আবারও বাতিলের বিষয়টি ভাবা হোক। সেটা হলে আগামী তিন বছর অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারবেন না জকোভিচ।
রায়ের পর জকোভিচের প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেনের রাফায়েল নাদাল বলেন, জকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে দেয়া উচিত। জকোভিচ প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে তা একটি ‘সার্কাস' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জকোভিচের ঘটনায় তার দেশ সার্বিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
৯ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা ৩৪ বছর বয়সি জকোভিচ গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন ২০টি।
আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিততে পারলে জকোভিচ সর্বোচ্চ ২১টি গ্র্যান্ড স্লাম জেতার রেকর্ডের মালিক হবেন।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন