বাংলাদেশ আর জয়ের মধ্যে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে তখন কেবল রোহিত শর্মা। ওই সময়ই কিনা চার বলের মধ্যে তার ক্যাচ পড়ল দুইবার! দুটিই সহজ ক্যাচ। মিরপুরের গ্যালারি ভরা দর্শক তখন স্তুম্ভিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দেখে মনে হচ্ছিল যেন, নুইয়ে পড়েছেন তারা। তবে ম্যাচ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচের পর বললেন, জয়ের বিশ্বাসটা তখনও ছিল তাদের।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শেষের আগের ওভারের ঘটনা সেটি। দুই ওভারে ভারতের প্রয়োজন পড়ে ৪০ রানের। ৪৯তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর প্রথম বল ছক্কায় ওড়ান রোহিত। পরের বলে ওয়াইড ও বাই মিলিয়ে আসে তিন রান। এরপরের বলেই পড়ে প্রথম ক্যাচ। শর্ট ফাইন লেগে যা নিতে পারেননি ইবাদত হোসেন। উল্টো রোহিত পান দুই রান।
পরের বলে আবার ছক্কা মারেন রোহিত, চতুর্থ বলে পান তিনি আরও দুটি রান। পরের বলটি মাহমুদউল্লাহ করে বসেন ফুল টস, তবে টাইমিং করতে পারেননি রোহিত। এবার সহজ ক্যাচ যায় স্কয়ার লেগে। কিন্তু এনামুল হক তা জমাতে পারেননি হাতে। রোহিত নেন একটি রান। শেষ বলে মোহাম্মদ সিরাজ বোল্ড হলেও ওভার থেকে আসে ২০ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারেও নাটকীয়তার স্রোতে ভেসে শেষ পর্যন্ত ৫ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম ভাগে আট নম্বরে নেমে অসাধারণ সেঞ্চুরি করে ও পরে বল হাতে দুই উইকেট ম্যাচ সেরা হওয়া মিরাজ পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শেষ সময়ে দুটি ক্যাচ পড়লেও মনোবল ভেঙে পড়েনি তাদের।
মিরাজ বলেন, ক্রিকেটে ক্যাচ মিস হবেই। যে কেউ ক্যাচ মিস করতেই পারে। তার পরও আমাদের বিশ্বাস ছিল যে ম্যাচ জিততে পারব। স্রেফ একটা উইকেটের ব্যাপার ছিল। রোহিত আউট হয়ে গেলে কেবল বোলাররা ছিল, ওরা তো অতটা মারতে পারবে না। আমাদের বিশ্বাসটা ছিল যে উইকেট একটা পড়বেই।
মাহমুদউল্লাহর ওই ওভারের ঠিক আগে, ৪৮তম ওভারে সিরাজকে পেয়ে দারুণ বোলিং করে মেডেন নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে ওই ওভারটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন মিরাজ। তিনি জানান, মুস্তাফিজ একটা ওভার খুব ভালো বোলিং করেছে। মেডেন নিয়েছে। ওকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওই সময়ে ওই ওভারটা আমাদের দলের জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। খুব ভালো করেছে ওই ওভারটা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ