চট্টগ্রাম নগরে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা হয়। একাধিকবার ডুবে যায় সড়কগুলো। কিন্তু পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই দৃশ্যমান হয় সড়কের ক্ষতবিক্ষত চেহারা। ফেটে চৌচির হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় বিটুমিন। সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। প্রকাশ পায় সড়কের এক ভয়াবহ, বেহাল চিত্র। এমন সড়ক দিয়ে কেবল ছোট যানবাহন নয়, বড় গাড়িকেও চলতে হয় হেলিয়ে দুলিয়ে। ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। হয় প্রাণহানি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের সড়কগুলো মেরামত করে থাকে। গত বর্ষা মৌসুমে টানা নগরের ৭০ কিলোমিটারের প্রায় ৩২২টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তৈরি হয় ছোট-বড় গর্ত। সড়কগুলো সংস্কারে গত সাত বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
অভিযোগ আছে, চসিক সড়কগুলো নির্মাণ-সংস্কার কাজ টেকসই না হয় না, ঠিক থাকে না কাজের মান, ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের উপকরণ। ফলে, প্রতি বছর বর্ষায় বৃষ্টি হলেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এ কারণে চসিকের বড় অংকের টাকা অপচয় হয়। চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, বর্ষায় প্রতিবছরই সড়কগুলো জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়। তাছাড়া, পানিতে ডুবলে বিটুমিন দ্রুত উঠে যায়। তাই সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তবে চসিক নিয়মিতই তদারকির মাধ্যমে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করে থাকে। কাজের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। এখন সংস্কার কাজ চলছে। আশা করি, কাজ শেষ হলে সড়কগুলো আগের মতো হয়ে যাবে।
সরেজমিন দেখা যায়, বর্ষার পর নগরের অনেক সড়কই এখনো ক্ষতবিক্ষত। পোর্ট কানেক্টিং রোড, শেখ মুজিব রোডের বারিক বিল্ডিং ও রশিদ বিল্ডিং এলাকা, শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়ক, সিইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, কাস্টম ও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত সড়ক, মেরিনার্স সড়ক, জামালখান সড়ক, এস এস খালেদ সড়ক, সিডিএ অ্যাভিনিউ, শাহ্ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক, আরাকান সড়ক, মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক, ২নং গেট-বায়েজিদ সড়ক, ঢাকা ট্রাঙ্ক (ডিটি) রোড, হালিশহর সড়ক, কাপাসগোলা সড়ক, স্ট্র্যান্ড রোড, আলকরণ রোড, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর ও হামজারবাগ এলাকার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, ট্রেইলার ও প্রাইম মুভারগুলোকে হেলেদুলে চলতে হচ্ছে।