মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সালাহউদ্দিন সন্ন্যামতের ছেলে তাওহীদ সন্ন্যামত (১৮)। লেখাপড়ার পাশিপাশি পরিবারের সচ্ছলতার জন্য কাজ করতেন রাজমিস্ত্রির। ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। বিকালে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন তাওহীদ সন্ন্যামত। নিহত তাওহীদ সন্ন্যামতের পরিবার সরকারিভাবে শহীদ স্বীকৃতির দাবি করেছেন। পরিবারটি জানায়, আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে সদর উপজেলার খাগদী এলাকায় যোগ দেন তাওহীদ। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে নিহত হন তাওহীদ। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তাকে শহীদ স্বীকৃতির দাবিতে বিভিন্ন স্থানে ফেস্টুন টানানো হয়েছে। তাওহীদের বাবা সালাউদ্দিন সন্ন্যামত বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা না পেলে কোনোভাবেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। ছোট সন্তান হলেও তার আয়ের অর্থ দিয়ে পরিবারের খরচ, বড়ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ মেটানো হতো। তাওহীদের আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
প্রাণ যায় রোমান ব্যাপারীর : একই দিন গুলিতে নিহত হন মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের ভদ্রখোলা এলাকার আমর ব্যাপারীর ছেলে রোমান ব্যাপারী (৩০)। পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন রোমান। রোমানের উপার্জনেই চলত সংসার। রোমান নিহত হওয়ার পর পরিবারে শুধু শোক নয়, বিরাজ করছে আর্থিক দৈন্যতাও। বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করেছিলেন রোমান। সংসারে একটি কন্যাসন্তান ছিল। রোমানের শিশু সন্তান ঘরময় খুঁজে ফিরে রোমানকে। বাবার জন্য কান্না করে। স্ত্রীও জানে না কেমনে চলবে আগামীদিনগুলো। রোমানের চাচাত ভাই সোহেল ব্যাপারী বলেন, রোমানের আয়-উপার্জনেই চলত ওদের সংসার। নিহত হওয়ার পর সংসারে অসচ্ছলতা নেমে এসেছে। আমি চাই সরকার যেন এই নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। অর্থিক সহযোগিতার দাবি জানান তিনি।