দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি এবং সারের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানিসহ মোট ছয়টি দরপ্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার ৯৬০ টাকা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য সারের সংকট হবে না। গ্যাসের চাহিদা পূরণে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এ দুটো বিষয়ই সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
জানা গেছে, পেট্রোবাংলার প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.৫৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮০ টাকা। সৌদি আরব থেকে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে প্রতি টন ৩৪৬.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মেট্রিক টন ৩৩৫.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কো থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএডিসি মরক্কো থেকে টিএসপি সার আমদানি করে। এ সার কিনতে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টন টিএসপি সারের দাম পড়বে ৪১৫ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে দশম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার কিনতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে ব্যয় হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম পড়বে ৫৮১ মার্কিন ডলার।