২ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নতুন ভোটাররা ভুল-ভ্রান্তি সংশোধনে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিন আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও ভোটার তালিকার বিষয়ে অন্য কারও কোনো দাবি আপত্তি থাকলে, সেই বিষয়ে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। এরপর দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ। অন্যদিকে আগামী ২ জানুয়ারির আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ভুল সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি জানিয়েছে, মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী এটি পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারও কোনো দাবি আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ। এর আগে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগামী বছরের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর হালনাগাদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। পয়লা জানুয়ারি যারা ভোটারযোগ্য হবে সেসব তথ্য সংগ্রহ করে ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। দাবি, ?আপত্তি ও নিষ্পত্তি শেষে মার্চের ২ তারিখ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। বাদ পড়া ভোটারদের তালিকাভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য ইসির কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক পয়লা জানুয়ারি ২০২৫ এ ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা ইসির কার্যালয়ে গিয়ে নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে তাদের ধারণা, পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি।
তিনি বলেন, বাদ পড়া ভোটারদের বাইরে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটারযোগ্য হবে (১৮ বছর), তাদের তথ্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় মৃত ভোটারদের বাদ, সংশোধন ও দ্বৈততা থাকলে তা কাটিয়ে উঠতে পারব।
সবশেষ গত ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে নতুন ভোটার যুক্ত হবে প্রায় ১৭ লাখ। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটারযোগ্য হবে এ বছরের হালনাগাদের সময় তারা যুক্ত হবে।