তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারকে সন্তুষ্ট করা বিটিভির কাজ হতে পারে না। জনগণকে সন্তুষ্ট করাই বিটিভির প্রধান কাজ। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনাকারীদের জন্য বিটিভির দরজা খোলা থাকবে। বিটিভিতে সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করা যাবে। বিটিভি প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের মিডিয়া হিসেবে। গতকাল বাংলাদেশ টেলিভিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সভায় বিটিভির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, উপমহাপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সাঈদ-উর-রহমান, উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. মাসুদ ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিটিভির উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারকে সন্তুষ্ট করা বিটিভির কাজ হতে পারে না। জনগণকে সন্তুষ্ট করাই বিটিভির প্রধান কাজ। ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা বাদে সবাই বিটিভিতে আসতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, বিটিভিকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের চেয়ে উন্নত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিটিভিকে কাজ করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলে বিভিটির ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিটিভি ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রচারে ব্যস্ত ছিল। বিটিভিকে এই নীতি থেকে বের হতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে বিটিভিতে অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে। জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও নতুন কুঁড়ির মতো সাড়া জাগানো সৃজনশীল অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বিটিভির সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার, শিল্পী সম্মানি বৃদ্ধি, পুড়ে যাওয়া অবকাঠামো সংস্কারসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার বিষয় উপস্থাপন করেন।
মতবিনিময় সভার পূর্বে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন ও বিভিন্ন স্টুডিও পরিদর্শন করেন।
অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে জনগণের স্বার্থ রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ : অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, কোম্পানিটি গত পাঁচ বছর রিটার্ন জমা দেয়নি, যা এখন পরিশোধ করতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধ করতে হবে।