বিচারকদের বেতন বৈষম্য দূর করাসহ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় পাঁচ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার সংগঠনটির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো- বিচার বিভাগ পৃথকীকরণসংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলায় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে পুনরায় ওকালতনামা দিয়ে বিচারকদের বেতন বৈষম্য ও জুডিশিয়াল ভাতাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো সুরাহা করতে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া। পূর্বের ওকালতনামা প্রত্যাহার ও বছরের পর বছর বিনা পারিশ্রমিকে যে আইনজীবী এ মামলায় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে লড়াই করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়ায় তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব শেখ আবু তাহেরকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়। সততা, অভিজ্ঞতা, পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁর এ নিয়োগের ফলে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যাসমূহ সমাধানের পথ সুগম হবে বলে অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।
তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গাড়ি নগদায়ন, জুডিশিয়াল ভাতা, বেতন বৈষম্যসহ সার্ভিসের বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধানের উপায় এবং এ বিষয়ে আইনগত প্রতিকার সংক্রান্তে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৪ অক্টোবর একটি পত্রিকায় কয়েকজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মর্যাদার জন্য ক্ষতিকর মর্মে সভা একমত হয়। আদালতে কর্মরত বিচারকদের বিষয়ে এ ধরনের রিপোর্ট করার পূর্বে আবশ্যিকভাবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পূর্বানুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচনের জন্য কমিশন পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বিচার বিভাগীয় সংস্কার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ সংগ্রহের লক্ষ্যে সব বিচারকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মতামত ও সুপারিশ সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ উদ্দেশ্যে জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং মহানগর দায়রা জজ ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে পত্র পাঠানোরও সিদ্ধান্ত হয়।