বগুড়ার বাজারগুলোতে আমদানি বাড়ায় কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে সবজির দাম। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের। তবে বাজারে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, বকসি বাজার ও কলোনি বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু মানভেদে কিছুটা দাম কমে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি থেকে কমে ১৬০ টাকা, প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ১১০, আমদানিকৃত ভারতীয় পিঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এ ছাড়া বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০ টাকা, করলা, পোটল ও ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুলা ও মিষ্টি লাউয়ের কেজি ৪০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এদিকে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বগুড়ার বাজারগুলোতে মোটা ও মাঝারি মানের চালে বাড়তি দাম লক্ষ্য করা গেছে। মোটা মানের স্বর্ণা-৫, রঞ্জিত ও হাইব্রিড চাল ৫৮-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বগুড়া রাজাবাজার আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফায়াতুল ইসলাম বাবু জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সবজির আমদানি বেড়েছে। যে কারণে কেজিপ্রতি সবজরি দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এর আগে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে আবাদ নষ্ট হওয়ায় দাম বাড়তি ছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির দাম স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে।
কলোনি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী লাল মিয়া জানান, বাজারে সব ধরনের সবজির আমদানি বেড়েছে। দামও কম। আগের চেয়ে বিক্রিও বেড়েছে।
বাজার করতে আসা শহরের চকফরিদ এলাকার শ্রমিক রুস্তম আলী জানান, বাজারে এসে দেখি সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।