টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। বেলা বাড়লেও বাজারগুলোতে মানুষের চলাফেরা খুবই ছিল কম। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক সবজি ক্ষেত।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত কলাপাড়া উপজেলায় ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একই সাথে সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি পানিতে টইটম্বুর করছে খাল বিল। কোনটা খাল আর কোনটা বিল সেটা বোঝার উপায় নেই। বৃষ্টির পানিতে সব একাকার হয়ে গেছে। অনেক নিচু স্থানে পানি জমে ঘরবাড়িতেও ঢুকে গেছে।
পৌর শহরের বাসিন্দা শ্যামল ডাকুয়া জানান, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির পানিতে তাদের বসতঘর তলিয়ে রয়েছে। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক সুলতান গাজী জানান, এ বছর প্রচুর পরিমাণে করল্লার চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনে আমরা অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলাম। বৃষ্টির কারণে চরম ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
একই এলাকার আলতাব হোসেন গাজী জানান, ইতোমধ্যে গাছের গোরায় বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধেছে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে সব করলা গাছের গোঁড়া নষ্ট হয়ে যাবে এনটাই শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
এদিকে আলীপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি মো.জলিল হাওলাদার বলেন, বর্তমানে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রগামী সকল মাছ ধরা ট্রলার আড়ৎ ঘাটে নোঙ্গর করে অবস্থান নিয়েছে। আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে আসলে ওইসব ট্রলার ফের সমুদ্রে যাত্রা করবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল