বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবিতে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গাইবান্ধা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত ২০ জন।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সকাল ১১টা থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা পৌর পার্কে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। পরে তা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। পরে তারা শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে আবারও পৌর পার্কে ফিরে আসে। এসময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পৌরসভার কার্যালয় ভাঙচুর ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চালায়।
পরে পৌর পার্ক থেকে মিছিলটি আবারও ডিসি অফিসের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে ডিসি অফিসের সামনের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় পুলিশ অন্তত ২০ থেকে ২৫ টি ছিটাগুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে আহত হয় অন্তত ২০ জন। এর পরেও আন্দোলনকারীরা পিছু হটেননি। সেখানে আন্দোলককারীরা অবস্থান নিয়ে সোমবার কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপরের কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ প্রথমে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল