ঢাকার ধামরাই থানা পুলিশ সাধারণ মানুষের উপর গুলিবর্ষণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জনগণ থানাসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। এসময় বিক্ষুদ্ধরা থানায় মোটরসাইকেলসহ ৫৫টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ওসি শেখ সিরাজুল ইসলামসহ সকল পুলিশ কৌশলে পালিয়ে যায়।
উত্তেজিত জনতা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে ধামরাই থানার ওসি শেখ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার যুবদলের ঢাকা জেলার সাবেক সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদের বাড়ির গেটে কয়েকটি গুলি করেন। এসময় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এরপর তারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের পাশে ও শরীফ এলাকাতেও গুলি করেন।
এতে পথচারী এক নারী ও নুরুল হক নামে দু’জন গুলিবিদ্ধের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে সকলেই জড়ো হয়ে ওসির কাছে গুলি করার জবাব চাইতে থানা ঘেরাও করে। এতে ওসি কৌশলে সকল পুলিশ নিয়ে পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ জনতা উপজেলা নির্বাহী অভিসারের বাসভবন, পৌরসভা, ধামরাই প্রেসক্লাব ও অ্যাসিল্যান্ডের গাড়ি, থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার সোহেল রানা জানান, ধামরাই থানায় সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে বিকেলে অগ্নিসংযোগ করা গাড়িতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। সেখানে মোটরসাইকেলসহ প্রায় ৫৫টি গাড়ি আগুনে জ্বলছিল। থানায় কোনো পুলিশ নেই। পুরোটাই ফাঁকা রয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর খবরে পুরো ধামরাইজুড়ে আনন্দ উল্লাস ও আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই