কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘বিজয়া সম্মেলন’। যেখানে নানা ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য, ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষে হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার।
রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় কক্সবাজার জেলা শহর ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মন্ডপ থেকে ট্রাকে যোগে আসতে শুরু করে প্রতিমা। একই সঙ্গে পর্যটক ও পূজারিন সাথে স্থানীয় দর্শনার্থীরা আসতে থাকে।
বেলা ৩টা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠে জনস্রোতের স্থান। লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে ঘিরে বালিয়াড়িতে একের পর এক প্রতিমা সমুহ রাখা হয়। আর জনশ্রুতে মিশে যায় সৈকতের উত্তরের শৈবাল, কবিতাচত্বর পয়েন্ট আর দক্ষিণের সী গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত।
যেখানে কমপক্ষে ৩ লাখের অধিক মানুষের সমাগমের মধ্যে বিকাল সাড়ে ৫টায় সৈকতের ঢেউতে ‘মা দূর্গা কি, জয়’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে একে একে ভাসিয়ে দেয়া হয় প্রতিমা সমুহ।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, সৈকতে ৩ লাখের অধিক মানুষের সমাগমের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। যেখানে ৫০টির অধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখাল নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফ নদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চের ‘বিজয়া সম্মেলন’ সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজারে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মাহফুজুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, এবি পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক এড. গোলাম ফারুক কায়সার, জামায়াত নেতা শহীদুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত