মাগুরার মহম্মদপুরে ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে লাখো মানুষের ঢল। এ উপলক্ষ্যে দুইদিন আগে থেকেই বসেছে গ্রামীণ মেলা, মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নানা ধরণের পণ্যের দোকান সাজিয়ে বসেছে ঝামা বাজার ও নদীর দুই পাড়ের বিশাল এলাকা জুড়ে।
সোমবার উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝামা বাজার সংলগ্ন মধুমতি নদীতে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ।
এদিন সকাল থেকেই মহম্মদপুর উপজেলাসহ আশপাশের শালিখা, নড়াইল, আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নানা বয়সি মানুষ আসতে থাকে ঝামা এলাকায়। তাদের উদ্দেশ্য কাঙ্খিত সেই লোকজ ঐতিহ্য নৌকাবাইচ দু‘চোখ ভরে দেখবে বলে। প্রতি বছর দূর্গাপূজার দশমির পরেরদিন এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের ঢল। তাদের উপস্থিতিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ। উদ্বোধনের পরপরই শুরু হয় কাঙ্খিত সেই চোখ জোড়ানো, মন মাতানো নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
সংগীতের তাল-লয়ে দাঁড়িয়াদের ছন্দময় দাঁড় নিক্ষেপে নদীর পানি ময়ূরপঙ্খির মতোই ঝিলমিল করে মধুমতির বুক জুড়ে। কাঁশার ঢং ঢং আর দাঁড়িয়াদের হেঁইও হেঁইও শব্দের তালে তালে উল্লাসে ফেটে পড়ে মধুমতি নদীর দুই পাড়ের আমুদে দর্শক।
যুবদল নেতা মোঃ মাসুদুর রহমান মামুদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা যুব দল সভাপতি ওয়াশিকুর রহমান কল্লোল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আহমেদ, মহম্মদপুর উপজেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মুন্সি রাসেল হোসেন।
প্রতি বছরের মতো এবছরেও বেশ কিছু নৌকা অংশ নেয় এই প্রতযোগিতায়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেলা কমিটি ও অতিথিরা।
বিডি প্রতিদিন/এএম