আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন জারির আগে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করা একটা আইনি প্রক্রিয়া। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় জামায়াত-শিবির ও অন্যান্য যে অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ, এটা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের যে দ্বিতীয় তফসিল আছে, সেখানে এগুলো তালিকাভুক্ত হবে।
জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের সদস্যদের কী হবে, তারা কি ফৌজদারি আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই দলের অধীনে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। তারা যদি বাংলাদেশের কোনো আইনে অপরাধ করে থাকে, অবশ্যই তাদের বিচার হবে। কিন্তু এটা যদি বলেন, গণহারে জামায়াতের যারা নতুন কর্মী যারা ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছে, তাদের বিচার করা হবে না। এমন গণহারে বিচার করা হবে না। এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধের পর একজনকে আদালত ছাড়া অপরাধী হিসেবে শাস্তি দিতে পারে কি না সরকার- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, যে আইনের কথা বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, সেখানেও আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা করেছি। নিষিদ্ধ করার পরেও তাকে সাজা দেওয়া যাবে না এমনটি না। তবে, নিষিদ্ধ যেহেতু হয়ে গেছে, সেহেতু নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সাজার মধ্যে আসবে না। সাংবাদিকরা তাদের সম্পদের কী হবে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, সেগুলোরও ব্যবস্থা হবে। এটা আইনে আছে। জামায়াত আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে কি না- প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। আন্ডারগ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে, তাদের কী হয়েছে... আপনারা নকশাল বাড়ির ইতিহাস জানেন। অনেক দল যেতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ডে। কিন্তু আমি বলেছি, সেটিকে মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের আছে। এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, একটা কথা উঠেছে গণহারে গ্রেপ্তার। বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু প্রসিকিউশন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আমরা প্রসিকিউশনকে নির্দেশনা দিয়েছি প্রতিটি ফরোয়ার্ডিং দেখে, যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী অথবা যারা মাইনর, তাদের জামিনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। প্রসিকিউশন উদ্যোগী হয়ে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করবে।