গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
সবশেষ সোমবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে প্রায় ৫০০ জন মারা গেছে। পাল্টা হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও। এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।
এমতাবস্থায় ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত রেখা ব্লু লাইন বরাবর একটি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গে একটি গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর গোপন যোগাযোগ নেটওয়ার্কে প্রবেশ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
কেননা, লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে লক্ষ্য করে সোমবার ভোর থেকে আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৯২ জন নিহত হয়েছেন। যার জবাবে পাল্টা হুমকি দিয়ে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিপক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবে তারা।
গাজা যুদ্ধের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা বলা হলেও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছে, লেবাননে কোনও ধরনের স্থল আক্রমণ সমর্থন করে না তারা। তাদের মতে, সামরিক অভিযান হিজবুল্লাহকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য করবে এমনটা বিশ্বাস করেন না তারা।
এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের (এমইআই) থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের সিনিয়র ফেলো রান্ডা স্লিম বলেছেন, “উত্তরে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইসরায়েলের জন্য দুটি উপায় ছিল: গাজা যুদ্ধবিরতি এবং স্থল আক্রমণে কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল দক্ষিণ লেবাননে পাঠানো।”
এদিকে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে এই ভয়ে লেবাননে বৃহৎ পরিসরে অভিযানে বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও তাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু বৃহৎ পরিসরে হামলার সিদ্ধান্ত নেন এবং লেবাননে বোমাবর্ষণের ইসরায়েলি পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট, আল-আরাবিয়া, ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/একেএ