ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬১ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভিনহেদো এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। ব্রাজিলের ভোয়েপাস এয়ারলাইনস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বিমানটির সব আরোহী নিহত হয়েছে। এতে ৫৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিল।
বিমানটি সাও পাওলো থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরে ভিনহেদো শহরে বিধ্বস্ত হয়। এটির ফ্লাইট নম্বর ছিল পিএস-ভিপিবি। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এটিআর ৭২-৫০০ বিমানটি লম্বা হয়ে নিচের দিকে নেমে আসছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট রেকর্ডারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ফরাসি-ইতালীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এটিআর বলেছে, বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করবে তারা।
বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলেও মাটিতে থাকা কেউ হতাহত হয়নি। তবে এতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বিশাল এলাকায় আগুন জ্বলছে এবং ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশে উঠে গেছে। ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ অনুসারে, বিমানটি স্থানীয় সময় ১১টা ৫৬ মিনিটে ক্যাসকেভেল ছেড়ে ছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিমান থেকে শেষ সংকেত পাওয়া যায়।
ব্রাজিলের সিভিল এভিয়েশন এজেন্সি বলেছে, বিমানটি ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটির বৈধ রেজিস্ট্রেশন এবং ওড়ার সক্ষমতা বিষয়ক সার্টিফিকেট ছিল। এ ছাড়া দুর্ঘটনার সময় বোর্ডে থাকা চারজন ক্রু সদস্যের সবাই যথাযথভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং তাদের বৈধ যোগ্যতা ছিল। ক্যাসকেভেলের ইউওপেকান ক্যান্সার হাসপাতাল জানিয়েছে, নিহতের মধ্যে তাদের দুজন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক রয়েছেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন। ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে সমাজমাধ্যমে এক পোস্টও দিয়েছেন ডি সিলভা।
সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর তারসিসিও গোমেজ ডি ফ্রেইতাস নিহতদের স্মরণে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।