রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাবেক দুই সোভিয়েত দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই মোদির প্রথম কিয়েভ সফর। এ মুহূর্তে পোল্যান্ডে রয়েছেন মোদি। সে দেশে দুই দিন থাকার পর তিনি আজ রওনা দেবেন ইউক্রেনের উদ্দেশে। ৭ ঘণ্টার জন্য থাকবেন কিয়েভে। তবে সেখানে পৌঁছনোর জন্য মোদিকে ২০ ঘণ্টার ট্রেন সফর করতে হবে। অভেদ্য ‘রেল ফোর্স ওয়ানে’ যাত্রা করবেন তিনি। কী বিশেষত্ব এ সাঁজোয়া ট্রেনের?
এ পরিস্থিতিতে কামানের গর্জনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশে যাচ্ছেন মোদি। জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সফর করবে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ নামে একটি ট্রেন। চলমান যুদ্ধের কারণে এখন ইউক্রেনের আকাশ খুবই বিপজ্জনক। যে কোনো সময় আছড়ে পড়তে পারে শত্রুপক্ষের মিসাইল। তাই আকাশপথে বন্ধ বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা। তাই বিমানে চেপে কিয়েভে পৌঁছনোর উপায় নেই। এ অবস্থায় ইউক্রেনের কূটনীতিকদের পরিবহন মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল পথই। লৌহবর্মে মোড়া এ সাঁজোয়া ট্রেনটি কার্যত অভেদ্য। তাই যুদ্ধের মধ্যে মোদির সুরক্ষায় এ ট্রেনটির ব্যবস্থা করেছেন জেলেনস্কি। রেল ফোর্স ওয়ানের আরেকটি নাম ‘লৌহ কূটনীতি’। এ যানে সওয়ার হয়েই এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। শুনতে ট্রেন যাত্রা হলেও, এ ট্রেনের ভিতরে যা রয়েছে তা কোনো বিলাসবহুল বিমানের থেকে কম নয়।
বিশেষভাবে তৈরি এ ট্রেনে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাই প্রোফাইল যাত্রীদের যাত্রা সুখকর করতে এলাহি ব্যবস্থা রয়েছে। কাঠের প্যানেলসহ কেবিনে বিশ্রাম করতে পারবেন যাত্রীরা। বৈঠক করার জন্য রয়েছে বড় টেবিল। সোফা, টিভি ছাড়াও ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক বিছানারও ব্যবস্থা করা রয়েছে ট্রেনের ভিতরে। উল্লেখ্য, রেল ফোর্স ওয়ান শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ইউক্রেন রেলের সিইও আলেকজান্ডার কামিশিন। তবে মোদিই প্রথম নন। তার আগে আরও অনেক রাষ্ট্রনেতা এ সাঁজোয়া ট্রেনে সফর করেছেন। তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুুনাকসহ আরও অনেকে।