শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ ফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে কে বসবেন ক্ষমতার মসনদে, তৈরি করবেন শ্রীলঙ্কার নয়া ভবিষ্যৎ। ২০২২ সালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে জনগণের বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। গেল দুই বছরে রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার হাল ধরে পাল্টে দেন অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন লঙ্কানদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কেননা দুই বছর আগে দেশটি দেখেছে অর্থনৈতিক দুর্দশার সবচেয়ে খারাপ পরিণতি। ঋণে ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কানরা তেল থেকে প্রতিটি পণ্যে দেখে সর্বোচ্চ দাম। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা সজিথ প্রেমদাসা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের ছেলে নমল। বামজোটের নেতা অনুরাকুমার দিশানায়েকসহ মোট ৩৮ জন প্রার্থী। গতকাল সন্ধ্যায় শুরু হয় গণনা। শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক বছরে যে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে, সেই আবহে এবার প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বৈদেশিক ঋণে দেউলিয়া আর মন্দায় বিপর্যস্ত দেশকে অনেকটাই উদ্ধার করেন এই আইনজীবী রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে গেলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো প্রার্থীই সেই ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। তবে দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) ভোটে গড়ালে শ্রীলঙ্কাকে নতুন প্রেসিডেন্ট পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয় দফার নীতি দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ আইনে একজন ভোটার তিন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কোনো একজন প্রার্থী কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বা এর চেয়ে বেশি ভোট পেলে, তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আর কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে। নির্বাচন ঘিরে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নেতা বাছাইয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না।