মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের প্রায় ৩৫টি দাস পরিবারের মধ্যে ২০টি পরিবার ঢাকঢোল বিক্রি করে সংসার চালায়। বর্তমানে অনেকেই ভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। এক সময় প্রতিটি পরিবারই এই পেশার সঙ্গে জড়িত ছিল। বংশপরম্পরায় তারা ঢাকঢোল, তবলা, শিশুদের জন্য খেলনা ঢোল ইত্যাদি তৈরি ও বাজারজাত করে আসছেন। বেশির ভাগ পরিবার নিজেরাই এসব কাজ করে থাকে। তবে কেউ কেউ কারিগর দিয়েও কাজ করান। কয়েক ধাপে এসব কাজ করা হয়। প্রথমে বিভিন্ন করাতকল থেকে আম, ডুমরা, নিমসহ বিভিন্ন সাইজের গোলাই কাঠ ক্রয় করে প্রয়োজন মতো সাইজ করা হয়। তার পর রং করে সুতা, চামড়া দিয়ে সেটিকে মোড়ানো হয়। প্রকারভেদে এগুলো ৭ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এলাকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী গোপাল দাস বলেন, আমরা সাত ভাই। দুই ভাই ছাড়া সবাই এ পেশার সঙ্গে জড়িয়ে আছি।
এ ব্যবসা করে পাঁচ ভাই খেয়েপরে ভালোই আছি। আমাদের তৈরি করা পণ্যগুলো ঢাকার শাঁখারীবাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। কিছু কিছু জিনিস খুচরাও বিক্রি হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজার খারাপ হওয়ায় অর্ডার নেই। তবে শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়বে বলে তিনি জানান। বর্তমানে মালামাল তৈরি করে রাখা হচ্ছে। অর্ডার পেলে ঢাকায় পাঠানো হবে। ঢাকা থেকে সারা দেশেই ছড়িয়ে যায় আমাদের এসব ঢাকঢোল। আমরা নিজেদের সাধ্যমতো এগুলো তৈরি করে যাচ্ছি। ব্যাংকের সুদের ঝামেলায় যেতে চাই না। নিজেদের যা পুঁজি আছে তা দিয়েই চালানোর চেষ্টা করছি। তবে সরকার যদি সুদবিহীন ঋণ দিত তাহলে ব্যবসা কিছুটা বাড়ানো যেত।