চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে কাজ করছে সরকার। তবে বিমানের সংকটে সবাইকে আকাশপথে ফেরত আনা সম্ভব হবে না। এজন্য আকাশপথের পাশাপাশি প্রয়োজনে সমুদ্রপথে তুরস্ক হয়ে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর চিন্তা করছে সরকার। গতকাল বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যারা ফেরত আসতে চান আমরা তাদের ফেরত আনছি। ১ হাজার ৮০০ জনের মতো ফেরত আসতে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ১৬০ জনের মতো সঠিক নিয়মে নিবন্ধিত। যারা আসতে চাইছেন তাদের মধ্যে ৯০ ভাগ অনিয়মিত। ৫০ জন করে প্রতিদিন আসতে থাকুক। ২০ ও ২২ অক্টোবর ৫০, ৫২ বা ৫৪ করে আসবেন। এরা সবাই ডকুমেন্টেড।
তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের আকাশপথ ছাড়াও বিকল্প পথ হিসেবে সমুদ্রপথে তুরস্কে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। আমরা চিন্তাভাবনা করছি, প্রয়োজনে সমুদ্রপথে তুরস্কের মিরসিন বন্দরে নিয়ে যাব। সেখান থেকে বিমানের চার্টার্ড বা নিয়মিত ফ্লাইটে তাদের নিয়ে আসব। তবে সেটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। তবু মানুষের জীবনের প্রশ্নে তা করতে আমরা প্রস্তুতি রাখছি।
অনিয়মিতদের ফেরানোর প্রক্রিয়া জটিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনিয়মিতদের সংখ্যাটা কম না। ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ হবে। সঠিক সংখ্যাটাও কেউ জানেন না। কারণ সবাই ডকুমেন্টেড হয়ে যান না। এদের মধ্যে অনেকে আসতে চান না, কারণ বিপুল অর্থ খরচ করে গেছেন। দেশে ফেরার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে যারা অনিবন্ধিত আছেন তাদের জন্য সমস্যাটা বেশি। লেবানন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
তিনি বলেন, ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার জন্য জরিমানার ব্যবস্থা আছে। জরিমানার পরিমাণটা বেশ। আমরা সেটা মাফ করার ব্যবস্থা করছি। কারণ তাদের হাতে টাকাপয়সা নেই। আমরা টাকা সরবরাহ করছি। এরই মধ্যে এটা অ্যাপ্রুভও হয়ে গেছে। অনিবন্ধিতদের ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ে আইওএমের সহায়তা চেয়েছি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বৈরুত বিমানবন্দরে চালু থাকা কিছু কিছু এয়ারলাইনস ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই। ভাড়া বাড়লেও আনতে হবে। সবাইকে এয়ারে আনা যাবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। আমরা দৈনিক ৫০ জনের বেশি সিট পাচ্ছি মিডলইস্ট এয়ারওয়ে, যেটা বৈরুত থেকে উঠবে।