সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের বাধার মুখে পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও।
রবিবার (৪ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এসময় লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার প্রবণ চৌধুরী তিনটি পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আগুন লাগা কারখানাগুলো হলো- জিরানী এলাকার হামিম গোডাউন, সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, ডরিন টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানা।
জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম মাসুম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট হামিমের গোডাউনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বাইপাইল মোড়ে আরএস টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি।
ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুবায়েদ বলেন, জিরানী এলাকার সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ডরেন ও জিরাবো এলাকায় হামিম গার্মেন্টসের গোডাউনে অগ্নি সংযোগের খবর এসেছে। আমরা সিনহা টেক্সটাইলে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যকে মারধর করেছে তারা। পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার পাশে যেদিক দিয়ে যাচ্ছে সেদিক দিয়ে দোকান-পাট ও কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আশুলিয়া থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক বক্স ও আমাদের লাইনে হামলা করেছে। আমরা কোনো কিছুই করতে পারছি না, শুধু লোকাল সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি।
এদিকে দেশের সব পোশাক ও বস্ত্র কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনা ও তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল