নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবস উপলক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে র্যালি বের করা হয়। পরে নোবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান।
উপাচার্য বক্তব্যের শুরুতেই শোকের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শ্রেণির প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হয়ে থাকে কেন্দ্র থেকেই তাই এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সে অনুযায়ী পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। জেলহত্যা দিবস নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে জাতীয় ৪ নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের বন্দি থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
এসময় উপাচার্য শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানানোর পাশাপাশি শহীদ জাতীয় ৪ নেতাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ৪ নেতার অবদান আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। কিন্তু সে খুনি চক্র আজও এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ষড়ন্ত্রকারীদের সে চেষ্টা সফল হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, শক্তি সঞ্চয় করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ইউছুফ মিঞা, সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. নাসির উদ্দিন, প্রক্টর মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক আফসানা মৌসুমীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/৩ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল