সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে রাতের বেলা সিএনজি অটোরিকশায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের শিকার হন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সোমবার সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় অটোরিকশা শ্রমিকদের সাথে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারি প্রভোস্ট, পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে রাতে নগরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে সিএনজি অটোরিকশায় ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে অটোরিকশা শ্রমিকরা এসে তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। ইটপাটকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের সহকারি প্রভোস্ট আশিষ কুমার বণিক, পুলিশ সদস্য সোহেল আহমদ ও শিক্ষার্থী আল আমিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের সাথে বসে ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অটোরিকশা শ্রমিকরাও ফিরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল হক সিজার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা আমাদের উপর হামলা চালায়।’
প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা উপস্থিত হয়ে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেয়েছিলাম। এসময় হঠাৎ পরিবহন শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার সহকর্মীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
জালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব