শিরোনাম
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৭:০৩
চবির কলা অনুষদের নবীনবরণ

১ দিনের অনুষ্ঠানের জন্য সোয়া লাখ টাকার ব্লেজার!

বাইজিদ ইমন, চবি

১ দিনের অনুষ্ঠানের জন্য সোয়া লাখ টাকার ব্লেজার!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের জন্য ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৮টি ব্লেজার বানানো হয়েছে। অনুষদের ১৩ টি বিভাগের সভাপতি, ৩টি ইনিস্টিটিউটের পরিচালক, ডিন ও চবি উপাচার্যের জন্য বানানো হয় এই ব্লেজার।

প্রতিবছর নবীনবরণে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দেওয়া হলেও এ বছর অর্থ সাশ্রয়ের জন্য ব্লেজার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সদ্য সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী। 

এদিকে, সেকান্দর চৌধুরীর গণমাধ্যমকে দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন বিগত বছরগুলোতে শিক্ষকদের দেওয়া ক্রেস্ট এবং উত্তরীয়র দাম নিয়ে। 

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় ১৮ জন শিক্ষককে উপহার হিসেবে এ ব্লেজার দেওয়া হয়। আগামী ৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এ ব্লেজার গায়ে মঞ্চে বসতে দেখা যাবে বিভাগ প্রধানদের।

ব্লেজারগুলো তৈরি করা হয় চট্টগ্রামের ইউনুসকো সিটি সেন্টারের জিআর টেইলর্স থেকে। প্রতিটি ব্লেজারে খরচ হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ১৮টি ব্লেজারের খরচ ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ব্লেজারের ব্যয় বহন করা হয়েছে অনুষদের উন্নয়ন ফান্ড থেকে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রতি বছর ভর্তির সময় অনুষদ উন্নয়ন ফি হিসেবে সাড়ে তিন হাজার টাকা নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এর মধ্যে তিন হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট বিভাগে এবং পাঁচশ টাকা অনুষদের উন্নয়ন ফান্ডে রাখা হয়। অনুষদের বিভিন্ন কাজে উন্নয়ন ফি'র এ টাকা খরচ করা হলেও ইউজিসিকে এর কোনো হিসাব দিতে হয় না। 

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ব্লেজার নয় এমন অনেক কিছু ঘটছে যা সবার জানা নেই। উন্নয়ন ফান্ডের টাকা দিয়ে চলে রীতিমতো ভুঁড়িভোজ। ছাত্রদের কাছ থেকে উন্নয়ন ফি'র টাকা নিয়ে যে শিক্ষকরা এ ধরনের কাজ করতে পারে, তাদের কাছে দেশ ও জাতি কতটুকু নিরাপদ। 

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অধ্যাপক ড. সেকান্দার চৌধুরীর বক্তব্যে বলা হয়, এসব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো কারণ নেই। প্রতি বছরই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতিদের ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দেওয়া হয়। সবার সিদ্ধান্তক্রমে এবার ক্রেস্ট ও উত্তরীয় বাদ দিয়ে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য শিক্ষকদের সন্মাননা স্মারক হিসেবে ব্লেজার দেওয়া হয়। ব্লেজারগুলো শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কোনো কাজের জন্য নয়। এই ব্লেজারগুলো করা হয়েছে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের জন্য।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর