ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি জালিয়াতি চক্রের একজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধ এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে।
আটককৃত আতিক (২০)। তিনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার রানীনগর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দ নগরের মোকাররম হোসেনের ছেলে আহনাফ মোর্শেদ। ভর্তির ব্যাপারে ভুক্তভোগীর সঙ্গে আড়াই লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেন আহনাফ মোর্শেদ। পরবর্তীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে মেধাতালিকা না আসায় তার কলেজের বন্ধু ফরহাদ হোসেন তাকে অবৈধভাবে ভর্তির পরামর্শ দেন। একইঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বড় ভাই ইকবালের সহায়তা নিতে বলেন। পরমর্শ অনুযায়ী ইকবালের সঙ্গে কথা বললে তাকে ভর্তি করিয়ে দিতে আশ্বস্ত করেন।
পরে ইকবাল শৈলকূপার বড়দার লালচাঁন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিলে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি করানোর আশ্বাস দেন তিনি। সেদিন লালচাঁনের সঙ্গে আতিকও ছিলেন।
পরে আহনাফের আত্মীয়ের পরিচিত এক কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি জানান। পরে ওই কর্মকর্তা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে জানাই। এরপর আহনাফের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে জালিয়াতি চক্রের সদস্য আতিককে ডাকেন। এসময় ডিবি পুলিশ তাকে হাতেনাতে আটক করেন। এসময় তার হাতে ভর্তির একটি ফরম পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী আহনাফ বলেন, ‘পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে লালচাঁনের সাথে আড়াই লাখ টাকার চুক্তি হয়। ইতোমধ্যে তাদের ১৮ হাজার টাকা দিয়েছি। পরে আমার বাবা বাঁধা দেওয়ায় ও বিষয়টি অনিশ্চিত জেনে ক্যাম্পাসের পরিচিত এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ডেকে এনে পুলিশে ধরিয়ে দেই।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জালিয়াতি চক্রের ওই সদস্যকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ইবি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেছে। আগামীকাল (সোমবার) আটক ব্যক্তিকে কোর্টে চালান করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এএম