মানিকগঞ্জে ভরা মৌসুমেও কাঁচা মরিচের ভাল দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক। জেলার সর্বত্রই কাঁচা মরিচের আবাদ হয়ে থাকে। তবে শিবালয় ও ঘিওর উপজেলায় মরিচের আবাদ বেশি হয়। স্বাদ ও ঝাল বেশি হওয়ায় এ অঞ্চলের কাঁচা মরিচের চাহিদা দেশব্যাপী।
গতবারও ভাল দাম পেয়েছিল কৃষক। এ কারণে জেলায় এবার বেশি মরিচের চাষ হয়েছে। গতবার জেলায় মরিচের আবাদ হয়েছিল ৩ হাজার ৭১৭ হেক্টর জমিতে এবার ৩ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়ছে। গত বছর মরিচ উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৯৯২৪ মেঃ টন। এবার ৪ হাজার ২৮০২ মেঃ টন কাঁচা মরিচ উৎপাদন হয়েছে।
জেলায় বিভিন্ন বাহারী নামের মরিচ চাষ হয়ে থাকে যার মধ্যে-বিন্দু, ষাইট্টা, বিজলী, কারেন্ট মরিচ, বারি-১, হাইব্রিড(কিং), লালতীর (কিং), লালতীর (হাইব্রিড),ও হাইব্রিড (সানড্রপ)।
সরেজমিনে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় কৃষক ও শ্রমিকরা এক সাথে মরিচ উত্তোলনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। মরিচ চাষিরা বলেন, প্রতিবছর সাধরণত এ সময়ে মরিচের দাম পড়ে যায়। কিন্তু এবার এই ভরা মৌসুমেও পঞ্চাশ-ষাট টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এ রকম দাম থাকলে এবার লাভ আগেও বছর গুলোর চেয়ে অনেক বেশি হবে।
নারী শ্রমিকরা অবসরে মরিচ তুলে বাড়তি আয় করছেন। আয়শা খাতুন (৫৭) নামে এক শ্রমিক বলেন, সংসারের কাজের ফাঁকে মরিচ তোলার কাজ করি। ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে দিলে জমির মালিক প্রতিকেজি সাত টাকা করে দেয়। মরিচের দাম কম বেশি হলে আমাদের আয়ও কম-বেশি হয়।
ঘিওরের মরিচ চাষি লিয়াকত বেপারী বলেন, এ সময় প্রতিবছর মরিচের দাম কমে যায় তবে এবার এখনো ভাল দাম পাচ্ছি।এ রকম দাম থাকলে আগামীতে মরিচের আবাদ বাড়বে।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. রবিআহ নূর আহমেদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ভাল ফলন হয়েছে। এবার কৃষকরা সঠিক মূল্য পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়বে। প্রতি বছর মানিকগঞ্জে মরিচের আবাদ বাড়ছে। গত বছর জেলায় মরিচের আবাদ হয়েছিল গতবার জেলায় মরিচের আবাদ হয়েছিল ৩ হাজার ৭১৭ হেক্টর জমিতে এবার ৩ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম