আফগানিস্তানের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কাছ থেকে তালেবান যখন ক্ষমতা দখল করে তখন বিপুল ডলার নিয়ে ক্ষমতাশালীরা পালিয়ে যান। ফলে দরিদ্র দেশটি আরো দরিদ্র হয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক সংকট আর দুর্ভিক্ষে অনেক পরিবারের সন্তান বিক্রিরও খবর পাওয়া যায়। কিন্তু তালেবান সরকারের চার বছরের শাসনে আবার সুদিন ফিরতে শুরু করেছে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে।
এই সময়ে আফগান মুদ্রার মান ২১ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ করে মার্কিন ডলারের বিপরীতে মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হাসিবুল্লাহ নুরি আরো জানান, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে তাঁরা তাঁদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন, যার মধ্যে রয়েছে মুদ্রার মান বৃদ্ধি করা, ব্যাংকিং খাতকে প্রসারিত করা এবং অর্থনৈতিক সহায়তা বাড়ানো। তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক খাতের অর্থায়ন বেড়েছে ৭১ শতাংশ।
হাসিবুল্লাহ বলেছেন, ‘গত বছর বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে আফগানির মান ০.৭৯ শতাংশ ইতিবাচক ছিল, বিশেষ করে ডলারের বিপরীতে, যা নির্দেশ করে আমাদের মুদ্রা স্থিতিশীল আছে। আমার প্রচেষ্টা হলো মুদ্রার মান এমনভাবে ধরা রাখা যেন ভবিষ্যতে এটি খুব বেশি ওঠানামা না করে।’
তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের ২০০টি ব্যাংকের সঙ্গে এ মুহূর্তে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক লেনদেন করছে। তাঁরা এ সংখ্যা আরো অনেক বাড়াতে চান, যেন ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক মণ্ডলে তাঁদের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন।
কয়েকজন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, চার বছর ধরে আফগানিস্তানের ব্যাংকিং খাতে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। যদি বিশ্বের অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে পারে, তাহলে এসব সমস্যা দূর হতে পারে। এ ছাড়া দেশটির বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকরা সব সময় সেবা পান না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। সূত্র : তোলো নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন