অভিবাসন নিয়ে কঠোরতা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে হিসপ্যানিক ভোটারের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছেছে বলে এক জরিপ থেকে জানা গেছে।
‘ইউগভ/ইকোনমিস্ট’ পরিচালিত জরিপে চলতি আগস্টে ২৮% হিসপ্যানিক ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৬৮%। এর আগে সেই অসন্তোষ প্রকাশকারী হিসপ্যানিক ভোটারের হার ছিল ৩৫%। চলতি সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অপর একটি জরিপ রিপোর্টে হিসপ্যানিক ভোটারের ৩২% ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। আর এটি হচ্ছে গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর সর্বনিম্ন। উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পের বিজয়ে হিসপ্যানিক ভোটারের অবদান ছিল অপরিসীম। ঐতিহাসিকভাবে ১৯৬০ সালের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই হিসপ্যানিক ভোটারের সিংহভাগই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে গেছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, ২০১২ সালের নির্বাচনে ৭১% হিসপ্যানিক ভোট দিয়েছেন বারাক ওবামাকে। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছেন ৬৬% ভোট। সংবাদ সংস্থা এপির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেন পেয়েছিলেন ৬৩%। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনের আগেকার সব হিসাবনিকাশ পাল্টে দিয়ে ট্রাম্প হিসপ্যানিক ভোটারের ৪৩% লাভ করেছিলেন অর্থাৎ ২০২০ সালের চেয়ে ৮% বেশি ছিল। আর গত নির্বাচনেই সবচেয়ে বেশি হিসপ্যানিক ভোটারের সমর্থন লাভে সক্ষম হন রিপাবলিকান কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছিলেন ৫৫%। আর এটিও অন্যতম একটি কারণ কমলার পরাজয়ের। আট মাসের ব্যবধানে ট্রাম্পের প্রতি হিসপ্যানিকদের সমর্থনের ধারা কেন কমছে সে বিশ্লেষণকালে উদ্ঘাটিত হয় অভিবাসনবিরোধী নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর দুর্বল নেতৃত্বের কারণে। ‘সোক্যাল স্ট্র্যাটেজিস’ নামক অপর একটি সংস্থার জরিপে ৪২% হিসপ্যানিকই ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আচরণে চরমভাবে অসন্তুষ্ট বলে উদ্ঘাটিত হয়েছে।