আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাবর্তন। এটি দেশের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিন অংশগ্রহণ করে সনদ নেবেন প্রায় ২৩ হাজার সমাবর্তী৷ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অতিথিসহ প্রায় ২৫ হাজার লোকের সমাগমে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ডি. লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে এ ডিগ্রী প্রদান করা হবে। এছাড়াও তিনি সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন৷
১২ মে (সোমবার) চট্টগ্রাম শহরে প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন সমাবর্তীসহ প্রায় ১লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে চবি ক্যাম্পাসে।
সংবাদ সম্মেলনে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে আসার পর অনুধাবন করি যে, বিশ্ববিদ্যালয় তার মূল লক্ষ্যে কাজ করছে না। সমাবর্তন হওয়া এটা একাডেমিক ক্যালেন্ডারেরই একটি অংশ। কিন্তু এসে লক্ষ্য করলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এদিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আমরা আরো লজ্জা পেলাম যখন জানতে পারলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯ বছরে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ৪টি। খোঁজ নিয়ে জানলাম ৪র্থ সমাবর্তন হয়েছে ২০১৬ সালে যেখানে ২০১০ সাল পর্যন্ত পাশ করা শিক্ষার্থীরা সমাবর্তন পেয়েছে। সেজন্য আমি চিন্তা করলাম সেটিকে আপডেট করা যায় কি-না। এইযে দীর্ঘ বছর ধরে সমাবর্তন হয় না এটাও একটা অনিয়ম চলছে মনে করে আমরা সমাবর্তনের উদ্যোগটা নিতে সমর্থ হয়েছি। আমরা উদ্যোগটা নেয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক তাদের সবার মনোভাব পর্যেবক্ষণ করে দেখেছি যে সবাই এটা চায়, সেজন্যই আমরা এই সাহসী উদ্যোগটা নিয়েছি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক ড. শহিদুল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাফর উল্লাহ তালুকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল