পঞ্চগড়ে মসজিদের নামে রেকর্ডভুক্ত খাস জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করছিলেন তিন ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের জামাদারপাড়া গ্রামের সোনারবান ৮ মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১২ শতক জমি উদ্ধার করে সদর উপজেলা ভূমি অফিস।
এ সময় অবৈধভাবে বসবাসরত দুই ব্যক্তির বসতবাড়ি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি, পুলিশ, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, মসজিদের মুসল্লি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
ভূমি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামাদারপাড়া জামে মসজিদের সংলগ্ন ১২ শতক খাস জমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন ওই গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দিনের তিন ছেলে—খলিল মিয়া, মজনু মিয়া ও ফয়জুল হক। জমিটি মসজিদের নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়ায় এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তাদের দখল ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়।
তবে তারা জমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয়রা উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ করেন। তদন্ত শেষে একাধিকবার তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে জমি ছেড়ে দিতে নির্দেশনা দেয় ভূমি অফিস। কিন্তু তারা প্রশাসনের নির্দেশও মানেননি। পরে মঙ্গলবার প্রশাসনের উদ্যোগে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় পাঁচটি ঘরসহ দুটি অবৈধ বসতবাড়ি উচ্ছেদ করে জমি মসজিদ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তারা মসজিদের নামে রেকর্ডভুক্ত খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং সরকারি জমি উদ্ধার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ