চট্টগ্রামে সেচ উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও আবাদি জমি বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাল খনন এবং মাটির নীচে পাইপ বসানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় এ কাজ চলছে। কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে ১১টি খাল খনন, ডিজেলচালিত পাম্প বসানো ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুস্ক মৌসুমে পানি সেচের মাধ্যমে কৃষক আবাদি জমি বৃদ্ধির সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ‘চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সম্পূরক সেচ উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে। রাউজানের ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে কদলপুর, পূর্বগুজরা, পাহাড়তলী, নোয়াজিশপুর, হলদিয়া ও ডাবুয়া ইউনিয়নে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।
বিএডিসি চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্রসেচ কার্যক্রম সম্প্রসারণ, জলাবদ্ধতা ও জলমগ্নতা নিরসনের মাধ্যমে আবাদী জমির আওতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোন দেয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছর ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং আগামী অর্থবছরেও কর্মসূচির জন্য ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। ইতোমধ্যে ২০ কিলোমিটার ১১টি পৃথক ক্ষুদ্র খাল খনন, ১০টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ এবং প্রত্যেকটি এক কিউসেক পানি ধারণ ক্ষমতার ৬টি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। প্রত্যেক পাম্পের জন্য মাটির নিচ দিয়ে দুই হাজার ফুট পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। দুইটি পাম্প চলবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে।
বিএডিসি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা দূর ও সম্পূরক সেচ উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে রাউজানের ৬ ইউনিয়নে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে ১১টি খাল খনন করা হয়েছে। এসব খালের একপাশে যোগাযোগের সুবিধা এবং সেচের সুবিধার্থে পাম্প বসানো হয়েছে। সুবিধাভোগী কৃষকরা এসব পাম্পগুলোর ব্যবস্থাপনা করবেন।’ তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক এলাকার খালে শুস্ক মৌসুমে পানি থাকে না। ফলে আমনের আবাদটা কেবল বর্ষা মৌসুমেই হতো। কিন্তু খননকৃত খালে জোয়ারের সময় পানি ঢুকার কারণে এখন বোরো মৌসুমেও কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারবেন। আবার বর্ষাখালে স্থানীয়রা জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবেন। বিশেষ করে আবাদি জমি জলমগ্ন হয়ে থাকবে না। এ কারণে ফসলের ক্ষতি হবে না।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার