চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের সাথে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার (২৭ জুন) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জনগণকে সঠিক তথ্য জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হবার সম্ভাবনা কমে, আর অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত জাতীয় সংহতিকে শক্তিশালী করে।
তিনি আরও বলেন, বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার, যা বন্দর কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন, ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অংশগ্রহণে তৈরি হতে হবে। এতে প্রস্তাবিত পদক্ষেপের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব খোলামেলাভাবে আলোচনার সুযোগ থাকবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। সভা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান। বক্তব্য রাখেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো চিফ গোলাম মওলা মুরাদ, বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ এবং দৈনিক আজাদীর সাবেক বার্তা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি বলেন, সাংবাদিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ পেশা। সত্যনিষ্ঠ সংবাদ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়া সংস্কারে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর একক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ, সম্মানজনক বেতন এবং একাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মিডিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ