বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, তিনটি প্রশ্নবোধক নির্বাচনের পর যদি আরও একটি প্রশ্নবোধক নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলাদেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এজন্য নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানাচ্ছি। নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো সকল দলের জন্য নিরপেক্ষ ব্যক্তি দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা করা, সেটি নির্বাচনের আগেই নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার রাতে চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রামবাসীর ঈদ পুনর্মিলনী ও মেজবান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরীর লাভলেন এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
প্রবাসী ভোটারদের এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি এক কোটি ১০ লাখ প্রবাসী বিদেশে চাকরি করে। তারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের টাকা দিয়ে বাংলাদেশ চলে। তাদেরকে অবশ্যই নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হলেও ধীরে চলছে। যথেষ্ট সময় পার করে যদি বলা হয় এবার সম্ভব নয়, জনগণ তা গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর গতানুগতিক রাজনীতি এবং প্রচলিত ধারার নেতৃত্বের বিপরীতে নৈতিকতাভিত্তিক, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকার কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য সংস্কার কমিটি করেছে। এ কমিটি মোট ৩২টি দলের সাথে পৃথকভাবে আলোচনা করেছে। এখন সম্মিলিতভাবে আলোচনা হচ্ছে। মোট ১৭৭টি জায়গায় পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২২টি জায়গায় সকল দল একমত হয়েছে। যেসব মৌলিক বিষয়ে এখনও ঐকমত্য তৈরি হয়নি, সেইসব বিষয়ে সকল দলকে একসাথে করে দিনের পর দিন আলোচনা চলছে। এই কর্মযজ্ঞের প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তোলা, যাতে জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল