বৈরি আবহাওয়ার কারণে উত্তাল বঙ্গোপসাগরের হাতিয়া চ্যানেলে একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ থেকে পণ্যবোঝায় ৪৩টি কনটেইনার সাগরে পড়ে গেছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর লাল বয়ার কাছে দেশি জাহাজ ‘কেএসএল গ্ল্যাডিয়েটর’ থেকে কনটেইনারগুলো পড়ে যায় বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে করিম শিপিং লাইন্স এর ‘কেএসএল গ্ল্যাডিয়েটর’ নামের একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ ঢাকার পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে যাওয়ার পথে হাতিয়ার লাল বয়ার কাছে ৪৩টি কনটেইনার সাগরে পড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম জানান, ‘কেএসএল গ্ল্যাডিয়েটরর নামে জাহাজটিতে মোট ৮৩টি কনটেইনার ছিল। পানগাঁও যাওয়ার পথে হাতিয়ার ভাসানচর এলাকায় জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এরপর হাতিয়া নতুন চ্যানেলের (চ্যানেল-২) দুইটি বয়া ক্রস করে। লাল বয়ার কাছাকাছি গেলে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে জাহাজটি বেশি দুলতে থাকে। একপর্যায়ে লেসিং (কনটেইনার আটকানোর লোহা) ছিঁড়ে ৪৩টি কনটেইনার সাগরে পড়ে ভেসে যায়। কন্টেইনারগুলো ভেসে ভাসানচর উপকূলের দিকে যাচ্ছিল। তবে ওই চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটছে না।’
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে কনটেইনারগুলো গতিপথ পর্যবেক্ষণে রাখতে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে বলে জানান উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম। তবে ওই কন্টেইনারগুলোতে কি পণ্য ছিল তা জানা যায়নি। করিম গ্রুপের মালিকানাধীন করিম শিপিং লাইন্স’র দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি দেশি-বিদেশি বন্দরে পণ্য সরবরাহ করে থাকে। জাহাজের মাস্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক আরো জানান, কনটেইনারগুলো ভাসানচরের দিকে যেতে দেখা গেছে। কনটেইনারের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে দুইটি স্থানীয় বোট পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় নৌযানকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার