চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পাবলিক লাইব্রেরি নতুন ভবনে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল সোমবার চসিকের উদ্যোগে নির্মিত সাততলা বিশিষ্ট পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু করা হয়। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড.অনুপম সেন পাবলিক লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন।
এ লাইব্রেরিতে নতুন-পুরনো মিলে আছে প্রায় অর্ধ লক্ষ বই। লাইব্রেরিটি প্রতিদিন খোলা থাকবে সর্বসাধারণের জন্য। জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, লেখক ও বই প্রেমীরা।
১৯০৪ সালে চট্টগ্রাম পৌরসভার প্রথম ভবনে ‘চিটাগাং মিউনিসিপাল লাইব্রেরি’ নামে পাবলিক গড়ে উঠে। ১৯২১-২২ সালে নূর আহমদ চেয়ারম্যান থাকাকালে লাইব্রেরিটি পূর্ণতা পায়। ১৯২৩ সালে পৌরসভার লালদিঘীর পাড়ে পাবলিক লাইব্রেরিটি স্থানান্তরিত হয়।
চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরের লালদীঘি মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে ‘কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর, লাইব্রেরি ও কমিউনিটি সেন্টার কাম সাইক্লোন শেল্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ১৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চসিক আধুনিক এ লাইব্রেরিটি নির্মাণ করে। এ লাইব্রেরিতে ছিল প্রায় ৪৫ হাজারের মত বই।
এর মধ্যে ছিল কয়েকশ বছরের পুরনো ইংরেজি সাহিত্য, কলকাতা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গেজেট, মূল্যবান পত্রিকা ও সাহিত্য সাময়িকী। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর লাইব্রেরিটি ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় বইগুলো বিবিরহাট সিটি কর্পোরেশন আরবান হেলথ কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় স্থানান্তরিত করা হয়।
সাততলা বিশিষ্ট চসিক পাবলিক লাইব্রেরি ভবনের প্রথম তলায় থাকবে ১৬০ আসন বিশিষ্ট কমিউনিটি সেন্টার, দ্বিতীয় তলায় থাকবে কেন্দ্রীয় দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ অফিস, তৃতীয় তলায় থাকবে শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চতুর্থ তলায় থাকবে চসিক পাবলিক লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, পঞ্চম তলায় থাকবে ফুটবল ও অন্যান্য ক্লাব, ষষ্ঠ তলায় জিমনেশিয়াম ও সপ্তম তলায় দু’টি ভিআইপি গেস্ট রুম।
চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ কাজী মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহামেদ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর