১৯ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:৫২

বিআইটিআইডিতে বাড়ছে করোনা রোগীর সেবার পরিধি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

বিআইটিআইডিতে বাড়ছে করোনা রোগীর সেবার পরিধি

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে প্রথম সেবা শুরু করা হয় ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে। তাছাড়া এখানকার ল্যাবেই প্রথম শুরু হয় করোনার নমুনা পরীক্ষা। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ সংকটসহ নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আশানুরূপ সেবা দিতে পারেনি। তবে করোনা সংক্রমণের এক বছর পর হাসপাতালটিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন তিনটি চিকিৎসা সেবা।

বিআইটিআইডি সূত্রে জানা যায়, ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ারনেস’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালে বসানো হচ্ছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টসহ পাঁচ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এবং আরও একটি অত্যাধুনিক বায়োসেপটিক ল্যাব। এসব কাজ বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম গত শনিবার হাসপাতালের জায়গটি পরিদর্শন করেছেন। এরপর গত রবিবার থেকে কাজ শুরু করা হয়। হাসপাতালের নিচতলায় সাবেক টিটেনাস রোগীদের রাখার কক্ষকে আইসিইউ স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে আছে পাঁচটি এইচডিইউ শয্যা। যা মূলত হাই-ফ্লো ন্যাজল ক্যানোলা দিয়ে রোগীদের অক্সিজেন সুবিধা দেয়া হয়।  

বিআইটিআইডির সহযোগী অধ্যাপক ও ল্যাব ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি অবশ্যই সুখবর। বিআইটিআইডিতে নতুন করে পাঁচটি আইসিইউ শয্যা এবং আরও একটি আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে সরকারি একটা নির্দেশনাও আছে। আশা করছি, আগামী দুই মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’

জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে সংক্রমণ শুরু হলে প্রথমে এ  হাসপাতালের ৬০ শয্যায় সেবা শুরু হয়। ওই বছর ২৫ মার্চ থেকে ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর থেকেই আলোচনায় আসে রোগ তত্ত¡বিষয়ে এ গবেষণা কেন্দ্রটি। কিন্তু আইসিইউ ও সাধারণ শয্যা সংকট, অক্সিজেন সুবিধা এবং জনবল সংকট থাকায় আক্রান্ত রোগীরা আশানুরূপ সেবা পায়নি। ফলে রোগী ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখন অক্সিজেনসহ আইসিইউ সুবিধা চালু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। রোগীরা নির্বিঘ্নে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।  

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর