হবিগঞ্জে নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ের হল রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে শোভাযাত্রা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী আব্দুস শহীদ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ জেলা। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে ৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রথম হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে অস্ত্র উঁচিয়ে হবিগঞ্জকে মুক্ত ঘোষণা করেন।
পরে হবিগঞ্জ সদর থানা কম্পাউন্ডে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন তারা। শহরবাসী বাংলার দামাল মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানায়। তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্ত হবিগঞ্জ শহরের রাস্তায় নেমে এসে বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা