ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আলম, সহ-সভাপতি আবদুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, প্রচার সম্পাদক সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান ও অপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ অন্যদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট (প্রসিকিউশন) শাখার পরির্দশক জাকির হোসাইন মাহমুদের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া।
সিআইডি’র পুলিশ বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, আমরা তদন্তে যা পেয়েছি সে অনুযায়ী মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
দিয়াজ ইরফান চৌধুরী বড় বোন অ্যাডভোকেট জোবাইদা সরোয়ার নিপা বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে শুনে আমি জিআরও কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। মামলায় যদি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে থাকে অবশ্যই আদালতে নারাজি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চবির বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ। এ ঘটনার তিনদিন পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তবে দিয়াজের পরিবার এটাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ দাবি করে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম