২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৩৭

তথ্য গোপন করে প্রার্থী, ইসির কাছে চিঠি দিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

তথ্য গোপন করে প্রার্থী, ইসির কাছে চিঠি দিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড-আকবর শাহ্) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে সরকারি চাকরির বিষয়টি গোপন রাখায় রবিবার রাতে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় জানাতে ইসির কাছে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা তোয়ায়েল ইসলাম।

স্বাস্থ্য সহকারী সালাউদ্দিন রকেট প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার ছবি দিয়ে তিনি পোস্টারও ছেপেছেন। সরকারি চাকরিজীবী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি নিয়ম অমান্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনি মনোনয়ন ফরমে এ তথ্য গোপন করেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য, একাধিকবার চিঠি দেওয়ার পরও জবাব না দেওয়া এবং বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাসহ এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করে আমরা গত রবিবার রাতেই নির্বাচন কমিশন বরাবরে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ইসির নির্দেশনা মতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, সরকারি চাকরি করেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় গত ২৩ নভেম্বর সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘনে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিনকে চিঠি দেন সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন। চিঠিতে তিন কর্ম দিবসের সময় বেধে দেওয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। চিঠির জবাব না দেওয়ায় এবং ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চলতি মাসের ১৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় গত ২৪ ডিসেম্বর আবারও শোকজ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা। 

সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন বলেন, তিনবার শোকজ করার পরও তিনি একবারও জবাব দেননি। যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী। বিষয়টি সিভিল সার্জন এবং নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয় প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং ওই পদত্যাগ বা অবসর যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হলে তিনি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ এর বিধি-২৫ অনুযায়ী সরকারি কোনো কর্মচারী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর