পৃথিবীর যেখানে গণহত্যা মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানকার নিহতের সংখ্যা অনুমানের ভিত্তিতে নিরূপণ করা হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা বিএনপি নেতাদের মন্তব্যবের জেরেই শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির জাতীয় সম্মেলন ২০১৬ উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘নিহতের এই সংখ্যা একজন দুইজন করে হিসেব করে কখনও বের করা যায় না। সারা পৃথিবীতে যেখানে যে গণহত্যা হয়েছিল সেটা কখনও একজন দু’জন করে গুণে সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। একটা অনুমান ভিত্তিক সংখ্যা নিরূপণ করা হয়েছে।’
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘গণহত্যার চিহ্ন সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। মানুষের মৃত্যুর ধরন দেখে, মিছিল দেখেই হয়তো সংখ্যাটাকে অনুমানভিত্তিক করা হয়েছে। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন।’
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে দিতে চাই- ইতিহাস বিকৃত করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একদিনে হন নাই। ১৯৪৯ সাল থেকে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের জন্য উনি সংগ্রাম শুরু করেন। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফার মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধীনতার সোপান রচনা করেছিলেন। ৬৯-এর গণ-অভুত্থানের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। এই স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। এই স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তির এক হুইসেলে আসে নাই।’
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কটাক্ষ করলে বাংলার জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই ধৃষ্টতা দ্বিতীয়বার না দেখানোর জন্য আমরা অনুরোধ করে যাচ্ছি। যদি ভবিষ্যতে কেউ দেখায় তাহলে বাংলার জনগণ তাকে এই বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের জন্য উৎখাত করবে।’
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির মহাসচিব মুফতি তাজুল ইসলাম ফারুকী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব